বাংলাদেশ এবং শাহবাগ


আমরা বাংলাদেশী যারা শাহবাগ অবস্থান করছি তারা কি জানি আমরা কি করছি ? নাকি আমরা কোন একটি রাজনৈতিক দলের কাজকে সমর্থন করছি। অথবা আমি একটি ্দলকে সমর্থন করি তাই আমার প্রতিপক্ষ দলকে কোন ঠাসা করতে শাহবাগ অবস্থান করছি। নাকি আমি শুধু আবেগ বশবর্তী হহে এখানে এসেছি। আমি নিজে বলছি আমি রাজাকারদের বিচার চাই। কিন্তু আমি আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক  দলের অধিনে তাদের বিচার চাইনা। কেননা, আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ এরা শুধু মাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটবার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা বা কৌশল অবলম্বন করা যায় তারা তাই করবে, এটাই হল তাদের চারিত্রিক গুণাবলি। দেখলে খুব কষ্ট লাগে যে বিদেশী একটি দেশ আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাগ গালায়। এই দেশটি কি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, নাকি এই দেশটি আমাদের নিয়ে ফুটবল খেলে। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

==ইতিহাস==
এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে  মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে  নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী [[ক্লারা জেটকিন|ক্লারা জেটকিনের]] নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে  [[ডেনমার্ক|ডেনমার্কের]] কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে  ক্লারা  প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ  থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।  দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ  থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় [[জাতিসংঘ]]।এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।













Nusraat Faria